সর্বস্তরে ব্যাপক প্রসার পাচ্ছে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা। কোনো এক সময় মানুষের ধারণা ছিল গরিবের চিকিৎসা মানেই হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা। আর এই ধারণা পাল্টে গেছে,এখন উচ্চবিত্ত থেকে শুরু করে নিম্নবিত্ত সবধরনের মানুষ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা গ্রহণ করছে। অন্যদিকে সার্টিফিকেট বিহীন চিকিৎসক বেড়ে গেছে হোমিওপ্যাথিতে।সমাজ ও সভ্যতা যখন চারদিকে বিকশিত হচ্ছে চিকিৎসা ব্যবস্থা ঠিক তেমনি বিকশিত হচ্ছে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা।
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা চারদিকের জনপ্রিয়তা পাচ্ছে আর অন্যদিকে কিছু সংখ্যক অজ্ঞহীনতা বা সার্টিফিকেটবিহীন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ছে। আর এর জন্য প্রকৃত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় অনেক ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে। আর এর জন্য প্রয়োজন কর্তৃপক্ষের যথোপযোগী যাচাই-বাছাই করে সার্টিফিকেট বিহীন নামমাত্র হোমিও চিকিৎসকদের নির্মূল করা । আর এর ফলস্বরূপ হোমিওপ্যাথি জনপ্রিয়তা প্রসার লাভ করবে এবং কাঙ্ক্ষিত সেবাও সম্ভব হবে, আমার দৃঢ় বিশ্বাস ।
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় রোগীকে লক্ষণভিত্তিক চিকিৎসা দিতে পারলে যেকোন রোগ অতি সহজেই নির্মূল করা যাবে। রেজিস্ট্রারভুক্ত চিকিৎসক যত বেশি রোগের লক্ষণ এর উপর লক্ষ্য রাখতে পারবে, তত বেশি রোগ নির্মূল করা সম্ভব হবে।কোনে একসময় সারা বিশ্বে দেখা যাবে মানুষ হোমিওপ্যাথির চিকিৎসা উপর আস্থাশীল হবে। আমাদের উচিত রেজিস্ট্রারভক্ত চিকিৎসকরা রোগের রোগের লক্ষণ এর উপর নির্ভর করে লক্ষণভিত্তিক চিকিৎসা দিয়ে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাকে মানুষের আস্থাযোগ্য করে তোলা, তাহলেই দেশ-জাতির কল্যাণে সেবার মান উন্নত হবে।
ডা: শেখ শাকিল, ডি.এইচ. এম.এস.(ঢাকা)
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।